
বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলা কমপ্লেক্সে সরকারি বাগানের ফুল গাছ খাওয়ার অপরাধে ছাগলকে জরিমানা করা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সীমা শারমিনকে বদলি করা হয়েছে।
সীমা শারমিনের নতুন কর্মস্থল জাতীয় স্থানীয় সরকার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি)। সেখানে তাকে উপ-পরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়।
গত ৮ জুন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ খবর আসে।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু এ বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, এই বদলির সাথে ছাগল আটক কিংবা তার মালিককে জরিমানা করার কোনো বিষয় নেই।
আদমদীঘি উপজেলা হাসপাতালের পাশে তালশুন এলাকার অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য জিল্লুর রহমানের স্ত্রী সাহারা বেগম বাড়িতে ছাগল পালন করেন। তার একটি ছাগল গত ১৭ মে পার্শ্ববর্তী আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরে ফুল বাগানে গিয়ে কয়েকটি গাছের পাতা খেয়ে ফেলে।
বিষয়টি জানার পর আদমদীঘির ইউএনও সীমা শারমিন ওই দিন বেলা ১১টার দিকে নিরাপত্তাকর্মীদের মাধ্যমে ছাগলটি ধরে আনেন। এরপর সাহারা বেগমকে ডেকে আনেন উপজেলা কার্যালয়ে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেন সীমা শারমিন।
সাহারা খাতুন জরিমানার ২ হাজার টাকা না দিলে ছাগল ফেরত দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন সীমা।
সাহরা খাতুনের অভিযোগ, ওই দিন অনেক অনুরোধ করার পরেও ইউএনও ছাগল ফেরত দিতে রাজি হননি। এমনকি কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলেও ছাগলটিকে ফেরত দেয়া হয়নি।
ওই ছাগলকে প্রথমে আনসার বাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়। এরপর উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তাকর্মী আনসার আলীর হেফাজতে রাখা হয়। পরে ২২ মে থেকে ছাগলটি স্থানীয় ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি কাজলের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়।
এ খবর চাওর হলে গত ২৭ মে বিকেলে ছাগলটি সাহারা খাতুনকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ব্যাপক সমালোচনার মুখে ইউএনও সীমা শারমিনই পরে জরিমানার ২ হাজার টাকা অন্যের মাধ্যমে পরিশোধ করেছিলেন। তবে ওই ঘটনা নিয়ে ওই দিন কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
Leave a Reply