
কুষ্টিয়া চিনিকলের গুদাম থেকে ৫৩ টন চিনি গায়েবের ঘটনা ঘটেছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। এ ঘটনায় গুদাম কর্মকর্তা (স্টোরকিপার) ফরিদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, গত মৌসুমে উৎপাদনবন্ধ থাকা কুষ্টিয়া সুগারমিলের গুদামে ১১০ টনের মত চিনি মজুদ ছিল। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) মিলের কর্মকর্তারা স্টক রেজিষ্টারের সঙ্গে মজুদ চিনির পরিমান মেলাতে গিয়ে দেখতে পান সেখানে প্রায় ৫৩ টন চিনি কম আছে। ফলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে সুগারমিল প্রশাসনে।
শনিবার (৫ জুন) দুপুরে এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে। এখানে চিনি মজুদ করে রাখার জন্য ৬৫০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার দুটি গুদাম ঘর রয়েছে।
কুষ্টিয়া চিনিকল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান একটি চিনিকল। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার এই প্রতিষ্ঠানটিকে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে। এই মিলের দৈনিক আখ মাড়াই করার ক্ষমতা ১৫২৪ মেট্রিক টন এবং উৎপাদনের ক্ষমতা ১৫০০০ মেট্রিক টন।
Leave a Reply