
টিকা না পেয়ে যখন মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, তখন দীর্ঘসূত্রিতার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের ‘হত্যাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করে মামলা করা উচিত বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে দিল্লির হাইকোর্ট।
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি মনমোহন এবং বিচারপতি নাজমি ওয়াজিরির ডিভিশন বেঞ্চে এ সংক্রান্ত শুনানিতে বৃহস্পতিবার এমন পর্যবেক্ষণ দেয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের টিকা নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্ট। জানতে চেয়েছে, ‘টিকা না পেয়ে প্রাণহানির ঘটনার কী ব্যাখ্যা দেবে কেন্দ্র?’
আদালত বলেছে, ‘গোটা দেশে টিকার ঘাটতি রয়েছে। মানুষ টিকা নিতে চেয়েও নিতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে আপনাদের টিকার উৎপাদন থেকে জোগানের প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতাকে বন্ধ করতেই হবে। যেভাবে হোক টিকার জোগান বাড়াতে হবে।’
এ জন্য যদি কিছু নিয়ম-নীতি বদলাতে হয়, কেন্দ্রকে তা-ও বদলানোর পরামর্শ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আদালত জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোকে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা করা দরকার।
হাইকোর্ট বলছে, পুলিশি তদন্ত, অডিট প্রক্রিয়া এবং আরও নানা সরকারি বিধিনিষেধের বেড়ায় আটকে যাচ্ছে উৎপাদন সংস্থাগুলোর টিকার উৎপাদন থেকে সরবরাহের প্রক্রিয়া। এর মূল্য দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। জীবন দিয়ে তার মূল্য দিচ্ছেন তারা।
বিচারপতিদ্বয় বলেছেন, ‘এখন তদন্ত, অডিট নিয়ে ভাবার সময় নয়। কারণ, টিকার জোগানের অভাবে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আমাদের মতে, যাদের জন্য এটা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করা উচিত।’
আনন্দবাজার জানায়, ‘প্যানাসিয়া বায়োটেক’ নামে এক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতেই এসব পর্যবেক্ষণ দিয়েছে দিল্লির হাইকোর্ট।
রাশিয়ার একটি বিনিয়োগ সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ভারতে ‘স্পুৎনিক-ভি’ টিকা তৈরির কাজ করার কথা সংস্থাটির।
হাইকোর্টে প্যানাসিয়া বায়োটেক জানিয়েছিল, কেন্দ্রের কাছে প্রাপ্য একটি বড় অঙ্কের টাকা না পেলে টিকা তৈরি করতে পারবে না তারা।
Leave a Reply