
স্বাস্থ্য খাতের কাঠামোগত সংস্কার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা না বাড়িয়ে বরাদ্দ বাড়ালে কোনো লাভ হবে না। বরং এতে করে অর্থের অপচয় এবং চুরি হবে বলে মনে করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সোমবার (৩১ মে) জাতীয় অর্থনীতির পর্যালোচনা ও আসন্ন বাজেট নিয়ে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এ কথা বলেন।
ফাহমিদা বলেন, স্বাস্থ্য খাতে একদিকে অর্থ বরাদ্দ কম, অন্যদিকে অর্থ ব্যবহার করার সক্ষমতা নেই। কোন মন্ত্রণালয়ের কোন খাতে কী ধরনের সক্ষমতা আছে, কতো ব্যয় করতে পারে, সেটাকে বেঞ্চমার্ক ধরে অর্থ মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দেয়। এখন বর্ধিত যে অর্থ দেয়া হবে, সেটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কীভাবে খরচ করবে? আবার যেটা খরচ করল সেটাও বা কীভাবে হলো? এখানে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এগুলো আপনারাই রিপোর্ট করেছেন। সুতরাং এই একটা খাতের যে বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম, দুর্নীতি, দুর্বলতা এগুলোর কারণেই কিন্তু বরাদ্দ দিয়েও লাভ নেই। সুতরাং যেই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেটার যথাযথ বাস্তবায়ন করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের কাঠামোগত সংস্কার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। এই কার্যক্রমগুলো চালিয়ে যেতে হবে। তা না হলে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে কোনো লাভ হবে না। গতানুগতিক যেভাবে ব্যয় হচ্ছিল সেভাবেই হবে। বরাদ্দ বাড়ালে কিছুটা অপচয় হবে, কিছুটা চুরি হবে, এভাবেই চলে যাবে। দিন শেষে মানুষের কোনো উপকার হবে না।
এর আগে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে সিপিডির পক্ষ থেকে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।
তৌফিকুল ইসলাম বলেন, আইএমইডি’র তথ্য অনুযায়ী-চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে এডিপির মাত্র ৪৯ শতাংশের মতো খরচ করতে পেরেছি। এর মধ্যে সরকারি বরাদ্দের ৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। আর বিদেশি সাহায্য যেটা আসে, তার ৪৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ব্যয় করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো স্বাস্থ্য খাত। যেটা গত এক-দেড় বছর খুবই নজরের মধ্যে আছে। সেখানে খুবই কম খরচ হয়েছে। মাত্র ৩১ শতাংশের মতো এডিপি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সার্বিকভাবে বাজেট যেহেতু খুব একটা বাস্তবায়িত হয়নি, সে কারণে বাজেটে যে ঘাটতি আছে, সে ঘাটতিও তেমন হয়নি।
এ সময় কৃষিপণ্যের দামের বিষয়গুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য ‘কৃষি দামের কমিশন’ গঠনেরও প্রস্তাব দেয়া হয় সিপিডির পক্ষ থেকে।
ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে আরও বক্তব্য রাখেন সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।
Leave a Reply