
রাজধানীতে এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডায়েথিলামাইড) মাদক সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে ১৫টি দল সক্রিয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল রাতে পল্টন থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ।
তিনি বলেন, গতকাল (শনিবার) রাত থেকে শাহজাহানপুর, রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এলএসডি সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ভয়ঙ্কর মাদক ২ হাজার মাইক্রোগ্রাম এলসডি, আইস ও গাঁজা জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাইফুল ইসলাম সাইফ (২০), এসএম মনওয়ার আকিব (২০), নাজমুস সাকিব (২০), নাজমুল ইসলাম (২৪) ও বিএম সিরাজুস সালেকীন (২৪)।
ডিসি আহাদ বলেন, গ্রেপ্তাকৃতরা বলেছে, তারা গত এক বছর ধরে এলএসডি সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। মূলত অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তারা আসক্ত হয়ে এলএসডি সেবন শুরু করে। বিদেশ থেকে এলএসডি মাদক সংগ্রহ করে তারা।
দলগুলো শনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তারে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, তারা মূলত ইউরোপ থেকে এলএসডি নিয়ে আসতো। কুরিয়ার ও লাগেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে এলএসডি আসে। গ্রুপের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তার করলে বুঝতে পারব তারা দেশে কতদিন ধরে সক্রিয়। আমরা এই গ্রুপের সব সদস্যকে আইনের আওতায় আনতে পারব বলে আশা করি।
তথ্য মতে, ১৯৩৮ সালে সুইজারল্যান্ডের একজন বিজ্ঞানী ওষুধ হিসেবে এলএসডি আবিষ্কার করে। পরে এটি অপব্যবহার হয়ে মাদক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে গত বুধবার এলএসডি জব্দ করেছিল পুলিশ। ওই রাতে রাঝধানীর ধানমন্ডি ও লালমাটিয়া এলাকা থেকে এলএসডির ২০০ ব্লটিং পেপারসহ বিক্রয় চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়। তারা হলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র সাদমান সাকিব রূপল ও আসহাব ওয়াদুদ তুর্জ এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র আদিব আশরাফ। এই তিন জনই এখন কারাগারে আছেন।
Leave a Reply