
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ১০৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যা নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার প্রায় ৫৭ শতাংশ। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫৩টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ৫৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যা নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তে হার প্রায় ১২ শতাংশ।
আজ রোববার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় মোট ১ হাজার ৭২৮ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। করোনা দ্বিতীয় ঢেউ-এ ১৮ জন এবং মোট মারা গেছে ৩২ জন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রোববার লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে সকাল থেকেই শহর ও শহরের বাইরের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষ ও যান চলাচলা নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। তবে গতকালের চেয়ে আজ রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল আরও কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া জরুরি পণ্যবাহী যানবাহনের পাশাপাশি অটোরিকশা, সাইকেল, ভ্যান ও মোটর সাইকেলেও মানুষের চলাচল বেড়েছে। গত ১০ দিনে ভারত থেকে আটকা পড়া ৮৪ জন দেশে প্রবেশ করেছে সোনামসজিদ চেকপোস্ট দিয়ে। আর এদের মধ্যে দুইজনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাতজনের শরীরে ভারতীয় ধরন বি-১৬১৭ শনাক্ত হয়েছে এবং তাদের ইতিমধ্যে ১৪ দিন হোম কোয়ারিন্টিন শেষে পুনরায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া তাদের সাতজনের আত্মীয়-স্বজনদের করোনা পরীক্ষার আওতায় নেওয়া হবে। সম্প্রতি ভারতীয় ধরন শনাক্তে, জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য জেলা থেকে ৪২টি নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় গত ২৫ মে থেকে জেলায় সর্বাত্মক সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।
Leave a Reply