আমি বিএনপি করতাম, আদালতে শমসের মবিন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার পারভেজ মিয়া হত্যা মামলায় তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীকে আরও ৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

একই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকেও ৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াক এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী দাবি করেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন তিনি বাসায় ছিলেন। আদালতের কাছে নিজের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মাননীয় আদালত, ৫ আগস্ট তো আমি বাসায় ছিলাম। আমি কোনো খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। আমি তো প্রমাণ করে দিতে পারব ৫ আগস্ট আমি বাসায় ছিলাম। আমাকে রিমান্ডে দেওয়ার আবেদন নাকচ করা হোক।’

একপর্যায়ে তিনি আদালতকে বলেন, ‘আমি তো ১৫ বছর বিএনপির রাজনীতি করেছি মাননীয় আদালত।’

শমসের মবিন চৌধুরীর এই বক্তব্যের পর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী তার রিমান্ডের যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ‘শমসের মবিন চৌধুরী পল্টিবাজ নেতা। তিনি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী। জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন, তাদের একজন হলেন শমসের মবিন চৌধুরী।’

এর আগে, সকালে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াক আসামিদের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট সকাল ১০ টা থেকেই যাত্রাবাড়ী এলাকায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন ছাত্র জনতা। ওইদিন বিকেল ৫টার সময় যাত্রাবাড়ী থানার সামনে চৌরাস্তায় গুলিতে গুরুতর আহত হন পারভেজ মিয়া। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুগদা হাসপাতাল মেডিকেল হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মুত্যুবরণ করেন।