
বিএনপি নেত্রীর প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় প্রতিজ্ঞা ভেঙে সাড়ে ছয় বছর পর নিজের মাথার চুল কাটলেন এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় হাসিনা সরকার কারাবন্দি করার পর মন ভেঙে যাওয়ায় মৌন প্রতিবাদে প্রতিজ্ঞা করেন নিজের মাথার চুল আর কাটবেন না। তার নাম মোজাম্মেল হক। বয়স ৫৩ বছর। পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলী মোল্লার ছেলে। মনে-প্রাণে একজন বিএনপিকর্মী।
খালেদা জিয়া কারামুক্ত হওয়ার ঘোষণা আসার পর নিজের প্রতিজ্ঞা ভেঙে মাথার চুল কাটলেন মোজাম্মেল। বুধবার সেলুনে গিয়ে মাথার চুল কেটে নিজের প্রতিজ্ঞা পূরণ করেন তিনি। আলাপকালে মোজাম্মেল হক বলেন, বিএনপিকে আমি ভালোবাসি। এক সময়ে আমি ছাত্রদলের কর্মী হয়ে রাজনীতি করেছি। এই দলটি আামার রক্তে মিশে আছে।
দলের নেত্রীকে আমি মায়ের মতো শ্রদ্ধা করি। সেই নেত্রীকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার যখন মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করলো তখন নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছিলাম না।
তিনি বলেন, ওই সময় প্রতিবাদ জানানোরও কোনো ভাষা ছিল না আমার। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিই আমার নেত্রী যতোদিন কারামুক্ত না হবেন, ততদিন আমি আমার মাথার চুল কাটবো না। অনেকেই বলতো মাথার চুল বড় রাখছি কেন। কিন্তু কাউকে বলতে পারিনি। অবশেষ আমার নেত্রী মুক্ত হয়েছেন। তাই বুধবার মাথার চুল কেটে আমি আমার প্রতিজ্ঞা ভেঙেছি।
Leave a Reply