
অবশেষে জমির দখল বুঝে পেল সাধক-গীতিকবি শাহ আবদুল করিমের পরিবার। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে জমিটি নিয়ে ‘শাহ আবদুল করিমকে দেওয়া জমি ৫৭ বছরেও পায়নি পরিবার’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবাদটি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এম কে খালিদের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মনিরুল আলম ও তার একান্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলামকে নির্দেশনা দেন।
নির্দেশনা মোতাবেক তারা সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করে শাহ আবদুল করিমের পরিবারকে জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন।
এর প্রেক্ষিতে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ২৫ মে উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে উজানধল গ্রামে যান। এরপর শাহ আবদুল করিমের একমাত্র ছেলে শাহ নূর জালালসহ অন্যদের নিয়ে দিনভর জমি মাপজোক করেন। ওই দিন বিকেলে তাকে বুঝিয়ে দিয়ে সেই জমিতে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
একুশে পদকপ্রাপ্ত শাহ আবদুল করিমের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের উজানধল গ্রামে। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের এ রচয়িতা ভূমিহীন ছিলেন। ১৯৬৪ সালে স্থানীয় প্রশাসন জালালপুর গ্রামের পাশে তাকে ২ একর ১১ শতক জমি স্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দেয়। এই জমি তার নামে রেকর্ড হয়েছে। শুরু থেকেই জমির খাজনাও পরিশোধ করেছেন। কিন্তু স্থানীয় একটি পক্ষের বাধার কারণে জীবিত অবস্থায় জমির দখলে যেতে পারেননি।
২০০৯ সালে মারা যান শাহ আবদুল করিম। এরপর নানাভাবে জমির দখল পাওয়ার চেষ্টা করেন তার ছেলে শাহ নূর জালাল। অবশেষে সেই জমির দখল বুঝে পেলেন তিনি।
Leave a Reply