পহেলা বৈশাখ বাঙালির মহা ঐক্যের দিন: সুলতানুল আজম খান আপেল

জীর্ণ-পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’- এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি। আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন।বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মানিকগঞ্জবাসীসহ দেশের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল।

এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদের সকল সংকীর্ণতা, কূপমুণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবনব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভেতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে; আমাদের নতুন উদ্যমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়। পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকউৎসব। এ দিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্‌যাপিত হয় এ নববর্ষ।

তিনি বলেন, প্রতিটি উৎসবের অন্তস্থল থাকে ধনী-নির্ধন নির্বিশেষে সব মানুষের মিলন, পরোক্ষে একটি জাতির নানা সম্প্রদায়, ধর্ম—গোষ্ঠীকে সংযুক্ত করে নানাভাবে। ১৪৩১ বাংলা সনের প্রথমদিনের নতুন আলোতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে কায়মনোবাক্যে দেশের সব মানুষের সুখ ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি।

তিনি বলেন, সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে বিজয় রথে এগিয়ে চলতে উল্লাসে অনুপ্রেরণা যোগায় আমাদের বাংলা নববর্ষ। পহেলা বৈশাখ বাঙালির মহা ঐক্যের দিন। এমন উৎসবমুখর দিন ধর্ম, বর্ণ, জাত বা গোত্রের সীমারেখা ভেঙে একসাথে একই পথে চলতে আমাদের অনুপ্রেরণা। সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও সুন্দরের জয়গানে পহেলা বৈশাখ সংহতি অনুষঙ্গ।

সুলতানুল আজম খান আপেল বলেন, নববর্ষের এ নতুন সকালে মহান আল্লাহর কাছে সকলের ব্যক্তিগত, পারিবারিক তথা জাতীয় সব পর্যায়ে সুখ ও শান্তি কামনা করি। ১৪৩১ বাংলা সনের প্রত্যুষের আলোয় আমি দেশবাসীকে আবারও জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.