নতুন মূল্যায়নে সন্তানদের দক্ষতা সহজে বুঝবেন অভিভাবকেরা: শিক্ষামন্ত্রী

মূল্যায়ন পদ্ধতিতে সন্তানদের দক্ষতা অভিভাবকেরা সহজে বুঝতে পারবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তানদের দক্ষতার জায়গাটা অভিভাবকেরা যাতে বুঝতে পারেন, সে জন্য আমরা পরিবর্তন এনেছি। এখন থেকে অভিভাবকেরা সহজেই এটি বুঝতে পারবেন।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এসএসসি পরীক্ষা বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগের মূল্যায়ন জিপিএ-৫ পেলেও শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা অর্জন করতে পারছে না। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় শিক্ষার্থীর যোগ্যতার মূল্যায়ন হচ্ছে না। ফলে সেই শিক্ষার্থী কর্মক্ষম হচ্ছে না, উন্নত জীবনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতিকে নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে মূল্যায়ন কার্যক্রম জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছে। নৈপুণ্য অ্যাপসের মাধ্যমে আমরা বছরের শুরু থেকেই মূল্যায়ন করতে পারছি। ফেব্রুয়ারিতে আমি তাদের অবস্থা জানতে পারলে তাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। আগে যেটা বছর শেষে আমরা জানতে পারতাম, বর্তমানে শিক্ষার্থীর দক্ষতা, প্রায়োগিক সক্ষমতা ও জ্ঞানের বিষয়টি আমরা বুঝতে পারছি না। সে জন্য আগের স্মরণশক্তির পরিবর্তে এই তিন বিষয়ের দক্ষতা যাচাই করা হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান বলেন, ‘অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমায় এবার এসএসসির পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।’

অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ক্ষতির কথা চিন্তা করে আমরা পরিদর্শনে যাইনি। যদিও আমাদের মন্ত্রণালয়ের টিম পরিদর্শনে থাকবে। নিজের সন্তানের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে এই জড়ো হওয়া থেকে বিরত থাকি।’

সীমান্তবর্তী এলাকার বিদ্যালয়গুলোর ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের বর্ডার এলাকার সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ চলছে। সংঘর্ষে কারণে সেখানে কোনো শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে আমরা তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারব। চট্টগ্রাম বোর্ড তাদের জন্য সেই ব্যবস্থা নেবে।’

এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ায়, যারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এটি করে। আবার আরেকটি গোষ্ঠী প্রতারণার জন্য এসব করে থাকে। অভিভাবকেরা নৈতিক অবস্থানে যেন কোনো আপস না করেন। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় একই রকম কাজ করা হয়। মেডিকেল পরীক্ষায় সহযোগিতার জন্য আমাকেও মেসেজ পাঠানো হয়।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সোলায়মান খান, মাউশির মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ, ঢাকা বোর্ড ও মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.