ফ্ল্যাটে দেবর-ভাবির প্রেম, লাশ হলেন স্বামী

দীর্ঘদিন ধরে চলছিল দেবর-ভাবির প্রেম। এ নিয়ে কয়েকবার সালিশ হলেও মেলেনি কোনো সমাধান। অবশেষে নিজের বাড়ি ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় ওঠেন ব্যবসায়ী স্বামী। কিন্তু বিধিবাম। বাসায় ওঠার ১০ দিনের মাথায় লাশ হলেন তিনি।
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার ঈশ্বরদী পৌর শহরের রূপনগর এলাকায়। এ ঘটনায় নিহত শাকিল আহমেদের স্ত্রী মীম খাতুন ও দেবর সাব্বিরকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

নিহত শাকিল উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের পতিরাজপুরের দূবলাচারা গ্রামের ইব্রাহিম প্রামাণিকের ছেলে। তিনি ঈশ্বরদী বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন।

মীমের সঙ্গে ছোট ভাই সাব্বিরের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা করেও কোনো সমাধান হয়নি। একপর্যায়ে বাবার বাড়িতে চলে যান মীম। কিন্তু ১০ দিন আগে স্ত্রীকে নিয়ে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সামনে রূপনগরের মাহাতাব কলোনির একটি ভাড়া বাসাতে ওঠেন শাকিল। সেখানেই শুক্রবার রাতে শাকিলের মৃত্যু হয়। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি শাকিলের পরিবারের।

নিহত শাকিলের মামা মুলাডুলি ইউপি সদস্য জাহিদ হোসেন তারা মালিথা জানান, শাকিল প্রায় ১০ দিন আগে স্ত্রী মীমকে নিয়ে রূপনগর এলাকার ওই ভাড়া বাড়িতে ওঠেন।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাকিলের ফোন থেকে আমাকে কল করে মীম জানান, ‘মামা; শাকিল কী যেন খেয়েছে, কথা বলছে না।’ পরে তাদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায় শাকিল মারা গেছে। তবে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয় বলেও দাবি করেন তিনি।

ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মীম ও ছোট ভাই সাব্বিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত পর শনিবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এডিশনাল এসপি (ঈশ্বরদী সার্কেল) ফিরোজ কবীর জানান, বেশ কিছু ঘটনা সামনে নিয়ে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.