আবার রক্তাক্ত কোম্পানীগঞ্জ, গুলিবিদ্ধ ৬

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ছয় জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

শনিবার (২৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাদের মির্জা ও বাদল অনুসারীদের মধ্যে বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মওদুদ আহমদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন— পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শামছুল হকের ছেলে সবুজ (৪০), নূর আহম্মদের ছেলে জিসান (২৩), মো. সানি (২৭), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এনামুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন সুমন (২৭) ও চরকাঁকড়া ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে দিদার (৩৫)। অপর এক গুলিবিদ্ধের নাম জানা যায়নি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, শনিবার সন্ধ্যা থেকে কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও বসুরহাট পৌরসভার প্রত্যেক ওয়ার্ডে কাদের মির্জার অনুসারীরা তার পক্ষে মিছিল করে। বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাদের মির্জার অনুসারীরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিছিল করতে গেলে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে কাদের মির্জার ছয় অনুসারী গুলিবিদ্ধ হন। বাদলের অনুসারীদের কারও আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর মোবাইল ফোনে রহমান বাদল বলেন, ‘গত চার দিন থেকে আমি ঢাকায় আছি। এলাকায় কী হয়েছে কিছুই জানি না।’

অন্যদিকে কাদের মির্জাকে ফোন করা হলে তার ফোন রিসিভ করে সহকারী হিসেবে পরিচয় দেন স্বপন মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘হামলায় অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা বিভিন্ন হাসপতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ‘সংঘর্ষে ছয় জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পাঁচ জন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। গুরুতর আহত একজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি জানান, ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.