৪২ শতাংশ কারখানা নিয়মের মধ্যে নেই: সিপিডি

পোশাক শ্রমিক

করোনাকালীন সময়ে তৈ‌রি পোশাক খাতে উচ্চ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হ‌য়ে‌ছে। ত‌বে ওই সময় গড়ে ১৮ দশমিক ১ শতাংশ শ্রমিককে জোর করে কাজ করানো হয়েছে। যেখানে পুরুষ শ্রমিকদের সংখ্যা বেশি ছিল। এছাড়া ৪২ শতাংশ কারখানা কোনো নিয়মের মধ্যে নেই। ৪৫ শতাংশ কারখানা ভাড়ায় চলে। ২৫ শতাংশ কারখানার সার্টিফিকেট নেই।

বুধবার (৩১ আগস্ট) ‘সাম্প্রতিক আরএম‌জি প্রবৃদ্ধি : উপযুক্ত কর্মসংস্থান সম্পর্কে আমরা কী শিক্ষা পেয়েছি’ শীর্ষক আলোচনায় উপস্থা‌পিত গ‌বেষণা প্র‌তি‌বেদ‌নে এ তথ্য তু‌লে ধরা হয়। অনুষ্ঠা‌নে গ‌বেষণা প্র‌তি‌বেদন উপস্থা‌পন ক‌রেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

৫১টি পোশাক কারখানার ১২৪৪ জন শ্র‌মি‌কের ওপর এ জ‌রিপ প‌রিচা‌লিত হয়। যেখা‌নে ৬০ শতাংশ নারী, আর ৪০ শতাংশ পুরুষ শ্র‌মিক অংশ নেন। জ‌রি‌পে উ‌ঠে এসে‌ছে প্রায় ৩০ শতাংশ পোশাক কারখানাকে কলকারখানা পরিদর্শন বিভাগের পরিদর্শকদের বাড়তি অর্থ ঘুষ হিসাবে দিতে হয়েছে, যা অবৈধ।

বুধবার ‘সাম্প্রতিক আরএম‌জি প্রবৃদ্ধি : উপযুক্ত কর্মসংস্থান সম্পর্কে আমরা কী শিক্ষা পেয়েছি’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ গ্রহণকারীরা। ছবি: ভোরের কাগজ
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ অনুষ্ঠা‌নের আ‌য়োজন ক‌রে। যেখা‌নে প্রধান অ‌তি‌থি ছি‌লেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন বিজিএমইএ সহসভাপতি শ‌হিদুল্লাহ আ‌জিম এবং বিকেএমইএ জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. হাতেমসহ এ খাতের শ্র‌মিক নেতা এবং শ্র‌মিক সং‌শ্লিষ্ট সংস্থার প্রধানরা।

সি‌পি‌ডির প্র‌তি‌বেদ‌নে বলা হয়, তৈরি পোশাক শিল্পের ক‌রোনার টিকার প্রস‌ঙ্গে প্র‌তি‌বেদ‌নে বলা হয়, ৭৪ দশ‌মিক ৩ শতাংশ শ্র‌মিক করোনার টিকার প্রথম ডোজ নি‌য়ে‌ছেন। দ্বিতীয় ডোজ নি‌য়েছেন মাত্র ২০ শতাংশ শ্র‌মিক। যা‌দের ওপর জ‌রিপ করা হয় তারা কেউ বুস্টার ডোজ নেন‌নি।

শ্র‌মিক‌দের টিকা নেয়ার বিষয়ে কারখানার মালিকপক্ষ ও খাত সংশ্লিষ্টরা ব‌লেন, শ্রমিকদের টিকা নিতে গেলে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগে, এত সময় ব্যয় করে তারা টিকা নিতে আগ্রহ হয় না। তাই করোনাকালীন সময়ে সরকারি যেভা‌বে উদ্যোগে নি‌য়ে প্রথম ‌ডোজ দি‌য়েছিল, সেটা চলমান রেখে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবি জানান।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.