বাবুলকে চট্টগ্রাম থেকে ফেনীতে স্থানান্তর

স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম থেকে ফেনীর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।

শনিবার সকালে তাকে ফেনীতে পাঠানো হয় বলে জানান চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মো. তারিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, ‘অবস্থানগত কারণে ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে’ বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিতুকে।

পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল। তার ঠিক আগেই চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশে ছিলেন তিনি।

হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়, যার বাদী ছিলেন বাবুল আক্তার নিজেই।

এদিকে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন প্রথম দিকে জামাতার পক্ষে কথা বললেও পরে নিজেই সন্দেহের আঙুল তোলেন।

পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে হত্যার পেছনে তার জামাইয়ের যোগসাজশ রয়েছে বলে তার ধারণা।

আদালতের আদেশে পরে মিতু হত্যা মামলা যায় পিবিআইয়ের হাতে। হত্যাকাণ্ডের প্রায় পাঁচ বছরের মাথায় গত ১১ মে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রাম পিবিআই কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়।

এর পরদিন ১২ মে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মিতু হত্যার সঙ্গে তার স্বামী বাবুল আক্তারের ‘সম্পৃক্ততার প্রমাণ’ পেয়েছেন তারা।

ঢাকায় ওই সংবাদ সম্মেলনের পরপরই চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় যান মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। বাবুলকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে নতুন একটি হত্যা মামলা করেন তিনি।

বাবুল ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তার ‘সোর্স’ কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা, এহতেশামুল হক ভোলা, মুছার ভাই সাইদুল আলম শিকদার ওরফে শাক্কু, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান ও খায়রুল ইসলাম কালু।

বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই। রিমান্ড শেষে বাবুল আক্তারকে আদালতে পাঠানো হলে তিনি জবানবন্দি দেননি, আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.