
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইতিমধ্যে ইউক্রেনকে ১ হাজার ৬০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইতিমধ্যে ইউক্রেনকে ১ হাজার ৬০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রছবি: রয়টার্স
ইউক্রেনকে আরও ৩০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ বুধবার এ ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। একজন মার্কিন কর্মকর্তা গতকাল মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্র এমন সময় নতুন এই অস্ত্র সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে, যখন ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ছয় মাস পূর্ণ হলো। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা করে রুশ বাহিনী।
সামরিক সহায়তার নতুন প্যাকেজ বুধবার প্রস্তুত করা হচ্ছে। দিনটি ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে মিলে গেছে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেলে এদিনে স্বাধীনতা অর্জন করে দেশটি।
এ প্যাকেজে কংগ্রেসে পাস হওয়া ইউক্রেন সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্স ইনিশিয়েটিভের (ইউএসএআই) তহবিল ব্যবহার করা হচ্ছে। ইউএসএআই বিলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনকে বিদ্যমান মার্কিন অস্ত্রের মজুত থেকে অস্ত্র নেওয়ার পরিবর্তে কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে অস্ত্র কেনার অনুমোদন দিয়েছে কংগ্রেস।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, অস্ত্রের এই নতুন চালানে আগের সরবরাহ করা অস্ত্রের চেয়ে আলাদা অস্ত্র যুক্ত করা হচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এ চালানে গোলাবারুদ এবং আরও মধ্যমেয়াদি প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
ইউএসএআইয়ের অধীন অস্ত্রগুলো ইউরোপে আসতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। কারণ, কোম্পানিগুলোকে এসব অস্ত্র কিনতে হবে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে কোন কোন অস্ত্র এ চালানে থাকবে, তাতে পরিবর্তন আসতে পারে বলেও ওই কর্মকর্তা জানান।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। এ যুদ্ধ প্রাথমিকভাবে পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইতিমধ্যে ইউক্রেনকে ১ হাজার ৬০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, রকেট লঞ্চার ও নির্ভুল হামলার জন্য ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রসহ ইউক্রেনকে আরও সমরাস্ত্র সরবরাহের পরিকল্পনা নিয়েছে জার্মানি। আগামী বছর ৫০ কোটি ডলারের এসব অস্ত্র সরবরাহ করা হতে পারে বলে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।
Leave a Reply