
দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা নির্ধারণের দাবিতে দ্বিতীয় দফা সমঝোতার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন ও ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছে সিলেট অঞ্চলের সকল চা বাগানের শ্রমিকরা। অপর দিকে দাবি আদায়ের আগেই নেতাদের আন্দোনল স্থগিতাদেশের প্রেক্ষিতে তাদের প্রতি আস্থা কমেছে চা শ্রমিকদের। বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতিকে মারধরের অভিযোগও উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা শহরের রেলগেট এলাকায় প্রায় হাজার খানেক শ্রমিক চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি আটকে দেন। এছাড়াও শ্রমিকরা ঢাকা-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক সড়কও অবরোধ করেছেন।
রেলগেট এলাকায় বিক্ষোভে নেতৃত্বে থাকা কালিটি চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক উত্তম গোয়ালা বলেছেন, ৭টি চা-বাগানের শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতিকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২২ আগস্ট) সকালে তাকে মারধর করেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা ভ্যালীর আওতাধীন কালিঘাট চা বাগানের শ্রমিকরা।
জানা গেছে, সোমবার সকালে শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা ভ্যালীর আওতাধীন কালিঘাট চা বাগানে যান বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি পঙ্কজ কন্দ। তিনি আন্দোলনরত শ্রমিকদের আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানাতে আসেন। এসময় চা-শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মারধর করেন। পাশাপাশি তারা চা বাগানের ট্রাকও আটকে দেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে পঙ্কজ কন্দের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
আন্দোলনের বিষয়ে কালিঘাট পঞ্চায়েত সভাপতি অবাং তাতি বলেন, আমরা তাদের নেতা বানিয়েছি। কিন্তু তারা যদি আমাদের সমস্যা না বোঝেন তাহলে তাদের নেতা থাকার দরকার নেই। আমাদের মাঠে নামিয়ে তারা উধাও হয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী টিভিতে এসে ৩০০ টাকা মজুরি হবে— এই ঘোষণা দিলে আমরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াব। নয়ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
Leave a Reply