
কোনও দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে কেউ বাধ্য করতে পারে না উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছেন, তারা সেই ধরনের কোনও প্রয়াস গ্রহণ করবে না। তবে সব দলকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবার জন্য শেষপর্যন্ত আন্তরিকভাবেই আহ্বান জানিয়ে যাবে ইসি। এছাড়া নির্বাচনে প্রার্থীদের জয় পরাজয় মেনে নিতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছে, পরাজয় মেনে না নেয়ার মানসিকতা পরিত্যাগ করতে হবে। আর অধিকাংশ দল নির্বাচনে সেনা চেয়েছে সেটিও যৌক্তিক বলেও মনে করে কমিশন।
সম্প্রতি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে আসা প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে ইসি এ ধরনের মতামত দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন গত জুলাই মাসে দেশের ৩৯টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৮টির সঙ্গে সংলাপ করেছে। ৯টি দল এই সংলাপ বর্জন করে। বাকি দুটি দলের সঙ্গে সেপ্টেম্বরে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। সংলাপে সংসদ নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সেনা মোতায়েনের প্রস্তাবনাটি যৌক্তিক বলেও কমিশন মত প্রকাশ করে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়ালের সই করা এই মতামত সোমবার (২২ আগস্ট) ইসির যুগ্ম সচিব (পরিচালক-জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে অবহিত করেন।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের বিষয়ে রাজনৈতিক দলের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে ইসি তার সুপারিশে বলেছে- কমিশন নির্বাচনে সব দলের বিশেষত প্রধানতম রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ আন্তরিকভাবে প্রত্যাশা করে।
অর্থশক্তি ও পেশিশক্তির ব্যবহার ও প্রভাব প্রতিরোধ, রিটার্নিং অফিসার হিসেবে কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের নিয়োগের সুপারিশের বিষয়ে ইসি বলেছে- সংবিধান, আইন ও বিধি-বিধানের অধীনে সব ক্ষমতা যথাযথভাবে প্রয়োগ করে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগে সৃষ্ট সব বাধা ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে। নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুকূল পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টি করতে তারা সব উদ্যোগ নেবে। কারচুপির সম্ভাব্য সব সুযোগ প্রতিরোধ করে সঠিক ও নিরপেক্ষ ফলাফল নিশ্চিত করতেও সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, সাহসিকতা ও সর্বোপরি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করে যাবে। আগামী নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে প্রশাসনের কর্মকর্ত ছাড়াও কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা এবং অন্যান্য বিভাগ থেকে কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেবার বিষয়টি কমিশন সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করে দেখবে।
Leave a Reply