
হবিগঞ্জঃ ঈদের আনন্দ নেই হবিগঞ্জের বন্যা দুর্গতদের। ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে সেগুলো। কোরবানির কথা ভাবতেও পারছেন না তারা।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলার লাখাই, বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ, নবীগঞ্জ, বাহুবল, সদরসহ সাত উপজেলায় হঠাৎ বন্যা দেখা দেয়। মুহূর্তে তলিয়ে যায় বাড়িঘর। ৩৩৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলে জেলা প্রশাসন। প্লাবিত হয় এক হাজার ১৮৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ১৫ হাজার ৩৯৯ জন মানুষ অবস্থান করছেন। এ অবস্থায় ঈদের আনন্দ যেন তাদের কাছে এখন স্বপ্নের মতোই। ঈদের আনন্দের চেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে শুধু দু’ বেলা খাবার লড়াইয়ে আছেন হবিগঞ্জের বানবাসী মানুষ।
বানিয়াচং উপজেলার শরীফখানী গ্রামের শাফিউল হক শাফি বলেন, কিছু এলাকা থেকে পানি নামছে। কিন্তু বাড়িগুলো এখনও বসবাসের উপযোগী হয়নি। ঈদের সময়। প্রতিটি ঘরে এখন জ্বর দেখা দিয়েছে। বানবাসী মানুষ ঠিকমতো ঈদ করতে পারবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।
আসমা আক্তার নামের আরেকজন বলেন, বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব ফেলে পরিবার নিয়ে স্কুলে রয়েছি। আমরা খুব কষ্টে আছি। ঈদ করার মতো সামর্থ্যও আমাদের নেই।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী বন্যার্তদের পর্যাপ্ত ত্রাণ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বন্যাকবলিত মানুষের কাছে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।
আমাদের বাণী/০৯/৭/২০২২/বিকম
Leave a Reply