
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
বুধবার (২৯ জুন) সংগঠনটির সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় তাঁর আত্মার শান্তি কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
নির্মল রঞ্জন গুহ অনেক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। গত ১২ জুন রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৬ জুন উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা জানান, মাউন্ট এলিজাবেথে চিকিৎসারত অবস্থায়ই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বুধবার সকালে তিনি মারা যান।
এক নজরে নির্মল রঞ্জন গুহ
ধনাঢ্য পরিবারে জন্ম হয়েও হার মানতে হয়েছে সর্বনাশা পদ্মার কাছে। বার বার পদ্মার ভাঙনে শতবিঘা সম্পতি বিলীন হবার পরেও থেমে জাননি নির্মল রঞ্জন গুহ।
নির্মল রঞ্জন গুহ ঢাকা জেলার সন্তান হয়েও মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হয়েছিলেন। ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি। বাংলাদশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন গত মেয়াদে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। স্কুল জীবনে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দিয়ে শুরু করে পরবর্তীতে কলেজ, জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্র রাজনীতিতে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৪ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর তৎকালীন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পরে ছাত্র রাজনীতি থেকে বিদায় নেন।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা জেলার আহব্বায়ক, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও পরবর্তী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি, সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগে দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে খালেদা- নিজামী জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনে একাধিক বার জেল জুলুমের স্বীকার হয়েছেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
Leave a Reply