
ঢাকাঃ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছে, ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে তিন কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে। ১৭ কোটি থেকে তিন কোটি বাদ দিলে যে ১৪ কোটি থাকে, তাদের মধ্যে সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড (পশ্চিমা বিশ্ব) ইউরোপের মতো।
আমি কখনই বলিনি ১৭ কোটি মানুষের পয়সা বেশি হয়েছে। রিয়েলিটি (বাস্তবতা) হলো—দেশের ২০ ভাগ মানুষের লো ইনকাম (নিম্নআয়), সেটাকে মাথায় রাখতে হবে। দরিদ্র শ্রেণির তিন কোটি মানুষকে অ্যাডজাস্ট করা দরকার, সেটার চেষ্টাই করে যাচ্ছি। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে, সেটা আপনারাও জানেন।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) বেলা ১১টায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ‘দ্বিতীয় চা দিবস ২০২২’ উপলক্ষে এ ব্রিফিং করা হয়।
তিনি বলেন, আমাদের দেখা দরকার সাধারণ মানুষ সঠিক দামে পণ্য কিনতে পারছেন কি না। ক্রয়ক্ষমতাও দুটি দিক রয়েছে, একটি হলো— যারা উৎপাদনকারী ও যারা ভোক্তা। যদি এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাই যে, উৎপাদনকারী আর ইন্টারেস্ট পাচ্ছে না। তাহলে কিন্তু প্রভাব পড়বে।
টিপু মুনশি আরও বলেন, আমাদের দেখতে হবে উৎপাদন খরচ, প্রফিট, মার্জিন কতটা থাকা উচিত। সামঞ্জস্যপূর্ণ দামের ক্ষেত্রে যেন কোনোভাবে বড় ধরনের পার্থক্য না থাকে। এটা দেখার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় যেভাবে সাহায্য চাইবে, আমরা সাহায্য করবো।
মন্ত্রী বলেন, নিম্নআয়ের মানুষের স্বার্থ দেখাটাই আমাদের লক্ষ্য। যাদের টাকা আছে, তিনি কী করবেন সেটা দেখার বিষয় না। কথা হলো—ন্যায্যমূল্যে যেসব পণ্য পাওয়া উচিত, সেটার দাম অবশ্যই আমরা দেখবো। খাদ্য মন্ত্রণালয় যখন আমাদের ডাকবে, তখন অবশ্যই যাবো। খাদ্যের বিষয়টি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কনসার্ন।
আমাদের বাণী/০২/০৬/২০২২/টিএ
Leave a Reply