
বগুড়াঃ পশ্চিম বগুড়ার সান্তাহার জংশন ও পৌর শহর। আশপাশে বাণিজ্যিক ভাবে লিচুসহ মৌসুমি ফলের চাষের বাগান নেই বললেই চলে। চাষাবাদ তথা বাগান না থাকলেও বসে লিচুসহ মৌসুমি নানা ফলের হাট। শ’ শ’ ঝুড়ি রসালো লিচু ও আমসহ নানান ফলের মৌসুমি হাট বসে সান্তাহার রেলগেটের অভ্যন্তরে স্থাপিত স্বাধীনতা মঞ্চ চত্বরে।
বর্তমানে সান্তাহারের দক্ষিন দিক তথা নাটোর ও নাটোরের আব্দুলপুর, রাজশাহীর আড়ানি ও রহনপুর এবং পাবনার ঈশ্বর্দী থেকে বাগান কেনা লিচু ব্যবসায়ীরা আসছে এই মৌসুমি ফলের হাটে। এরপর আসা শুরু করবে উত্তরের দিনাজপুর ও রংপুর থেকে।
ট্রেন পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবার কারনে ওই সব এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা রাতের ট্রেনে এসে দিনের ট্রেনে দ্রুত ফিরে যায়। লিচু বিক্রির নগদ টাকা পাওয়া ও চাঁদাবাজ না থাকাসহ নানা সুবিধা পাওয়ার জন্য তারা সান্তাহারকে নিরাপদ ব্যবসায়ী স্থান হিসাবে বেছে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর-দুরান্তের লিচু ব্যবসায়ীরা।
আজ সকালে ফজর নামাজের পর মৌসুমি ফলের হাটে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় ও বোম্বাই জাতের রসালো লিচু ভর্তি শ’ শ’ ঝুড়ি ও কার্টুন ঘিড়ে আড়তদার ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরব উপস্থিতি। সান্তাহার শহরের পাশাপাশি পাশের দুপচাচিয়া, রানিনগর ও আত্রাইসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পাইকাররা ঘুড়ে ঘুড়ে লিচু’র মান যাচাইয়ের চেষ্টা করছেন। সকাল সোয়া ছয়টার দিকে আড়তদাররা লিচু’র বিক্রেতাকে পাশে নিয়ে ঝুড়ি ও কার্টুন খোলেন। এরপর দুই হাতে লিচ’র থোকা উঁচিয়ে ধরে রসালো লিচু’র সাইজ ও রং প্রদর্শন করছেন। সেটা দেখে দরদাম হাঁকছেন ক্রেতারা। দাম মন পুত হলে বিক্রেতার ইশারায় আড়তদার এক-দুই তিন বলে সর্বোচ্চ দাম হাঁকা ক্রেতা অনুকুলে দিয়ে দিচ্ছেন। অনেকটা খোলা নিলাম ডাকের মত পদ্ধতি। এভাবে মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায় লিচু হাটের বিকিকিনি।
এবার সান্তাহার পৌরসভা স্থায়ী হাট-বাজারের মত টোল বা খাজনা দাবি করে বসেছে। ব্যবসায়ীরা রেলগেটের বাহিরে স্থায়ী জায়গা দিলে খাজনা দিতে রাজি আছেন।
আমাদের বাণী/৩০/৫/২০২২/বিকম
Leave a Reply