
ফরিদপুরঃ জেলার ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মহসিন উদ্দিন ফকিরের বিরুদ্ধে উৎকোচের বিনিময়ে প্রতিপক্ষকে খুশি করার জন্য দুর্বল মেডিকেল সাটিফিকেট প্রদানে অভিযোগ এনে ফরিদপুর শহরের এক রেস্টুরেন্ট সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্ত ভোগী মো.সুরুজজামান।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মোটরযান শ্রমিক সুরজজামান বলেন ,গত ১৪ ই জানুয়ারি জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে লাল মিয়া সহ তার ৫-৬ জন সাঙ্গপাঙ্গরা মালিগ্রাম হতে আমার নিজ বাড়ি ফেরার পথে ধারালো দেশিও লাঠি-রড, ছেন দা, রাম দা নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা করে। তৎক্ষনাৎ তারা এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও রড দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় আমাকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় আমার স্বজনেরা। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে আমাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখান থেকে আমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আমাকে আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হয় সেখানে আমার মাথায় ৬১ টা সেলাই ও আমার পায়ের হাড় ভাঙ্গার চিকিৎসা চলে। উক্ত ঘটনায় আমার স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করলে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ডাঃ মহসিন উদ্দিন ফকিরের দেওয়া দুর্বল মেডিকেল সাটিফিকেটের কারণে মামলা দুর্বল হয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ঢাকা থেকে ফেরার পর আমি তার কাছে গেলে সে আমার কাছে কৌশলে অর্থের দাবি করে। আমি তাকে আমার অবস্থার কথা জানাই, কিন্তু সে আমার কথা শুনে না। পরবর্তীতে তার কাছে আবার যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি আমাকে তার রুমে ঢুকতে দেওয়া হয় নি। আমি ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার শাস্তি কামনা করি তিনি বিবাদী পক্ষের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে আমাকে দুর্বল মেডিকেল সাটিফিকেট প্রদান করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদ কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
আমাদের বাণী/২৫/৫/২০২২/এসি
Leave a Reply