
শরীয়তপুরঃ জেলার ডামুড্যায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বশির বেপারী (৩৫) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ডামুড্যা থানায় মামলা করেছেন। গতকাল সোমবার (২৩ মে) বিকালে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা। অভিযুক্ত বশির বেপারী উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের সুলাইমান বেপারীর ছেলে। তার দুই ছেলে রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২১ মে) সকালে হঠাৎ ঝড় হয়। ঝড়ের পরে আম কুড়ানোর জন্য মেয়েটির মা ও বোন বাড়ির পাশে বাগানে যায়। সেদিন অসুস্থ অবস্থায় ঘরে শুয়েছিলেন ওই মেয়েটি। হঠাৎ ঘরে ঢুকে বশির দরজা আটকিয়ে দেন। এরপর মেয়েটির ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ সময় কলেজছাত্রী চিৎকার দিলে তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে বশির ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এসময় পাশের ঘরের আলেয়া বানু তাকে দেখতে পেলে তিনি দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার বেশ কয়েকবার থানায় যেতে চেয়েছিল কিন্তু স্থানীয়দের চাপে যেতে পারেনি। তারা টাকা দিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য বলে। এ বিষয়ে মেয়ের বাবাকেও হুমকি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, সেদিন আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে ঘরে শুয়েছিল। আমি আম কুড়ানোর জন্য পাশের বাগানে যাই। পরে আমার মেয়ের ডাক চিৎকার শুনে দৌড়ে আসি। আমার মেয়ে ও পাশের ঘরের জার কাছ থেকে ঘটনা শুনি। এ বিষয়ে স্থানীয় কয়েকজন টাকা নিয়ে আসে। টাকা নিয়ে সব কিছু মিমাংসা করে ফেলার জন্য বলে। তারা আমার মেয়ের ইজ্জত টাকা দিয়ে কিনতে চায়। গতকাল রাতে চেয়ারম্যান আমার স্বামীকে ডেকে মেয়েকে নিয়ে কয়েকদিনের জন্য অন্য কোথাও চলে যেতে বলেন। আমি এখন নিরুপায় হয়ে থানায় এসেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন মোল্লা বলেন, সেদিন এলাকায় আমি ছিলাম না। আমি জানি না বা আমার কাছে কেউ আসেনি। আপনি মেয়ের পরিবারকে চাপ দিচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে চেয়ারম্যান বলেন, আমার কাছে এসেছিল আমি থানায় যেতে বলি। ডামুড্যা থানা অফিসার্স ইনচার্জ শরীফ আহমেদ বলেন, এই ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply