বাংলাদেশের দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকাঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা, যার ধবনিতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছেন তার দূরদর্শী দৃষ্টি দিয়ে। এর সবই সম্ভব হয়েছে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য। যে কাজটি করেছে- একটা অত্যন্ত শান্তির সুবাতাস আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী দিতে পেরেছি।

সোমবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘র‍্যাব মিডিয়া ২০২১’ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, র‍্যাবের সফলতা অনেক। সে যদি বলতে হয় অনেক কথা বলতে হবে। আমার সময়ে যাদেরকে দেখেছি, মোখলেসুর রহমান আছেন। তার ভূমিকা দেখেছি, তার নেতৃত্ব দেখেছি। আজকে যিনি পুলিশ প্রধান তিনিও র‍্যাবের প্রধান ছিলেন। তার সময়ে অনেক বড় বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে এসেছে। জঙ্গির উত্থান দেখেছি। তাকে দেখেছি অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে তিনি এগিয়ে গেছেন। সফলতার সঙ্গে এগিয়ে গেছেন। তারপর আমাদের মামুন সাহেব আছেন। তিনিও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে র‍্যাব পরিচালনা করছেন। এজন্যই আজকে দেশের জনগণের কাছে র‍্যাব অহংকারের বস্তু হয়েছে, বিশ্বাস ও আস্থার জায়গা দখল করে নিয়েছে। সবাই মনে করে- র‍্যাব থাকলে আমরা সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো, অপরাধীদের দমন করতে পারবো। যেমন করে র‍্যাবের প্রতি মানুষের আস্থা, বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি কোণায় তাদের প্রতি আস্থা রয়েছে।

র‍্যাবের অর্জনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমি যদি একদিকে র‍্যাবের সফলতা কথা বলা শুরু করি; ভেজাল, ফরমালিন দেওয়া খাবারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব। আজকে আমরা ভেজাল থেকে মুক্ত হতে পেরেছি। আমরা দেখলাম, জঙ্গি দমনে র‍্যাব অক্লান্ত পরিশ্রম করলো। আমার মনে আছে, তখন র‍্যাবের প্রধান ছিলেন বেনজির আহমেদ। এক জঙ্গির মা আমাদের কাছে এসেছেন। এটা একটি ইতিহাস। জঙ্গি দমনে মুখোমুখি লড়াইয়ের চেয়ে বুঝিয়ে আত্মসমর্পণ করিয়েছি। আমরা যখন ক্ষমতায় আসি ২০০৮ সালে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলতেন, জলদস্যুদের কারণে আমাদের মৎস্যজীবীরা, জেলেরা সাগরে যেতে পারছে না। সেই জায়গা থেকে র‍্যাব সরাসরি অভিযান শুরু করলো। আমাদের কয়েকজন সাংবাদিকের কথা না বললেই নয়। তারাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবনের গহীন অরণ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন। মহেশখালীতে সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণের ব্যবস্থা করেছেন। আমরা সব যায়গায় দেখেছি, সাংবাদিকদের ভূমিকা। আজকের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করলেন। সুন্দর একটি উদাহরণ তৈরি করে গেলেন। এতে করে সাংবাদিকরা আরও উৎসাহ নিয়ে তাদের কাজটি করে যাবেন।

জঙ্গি হামলায় নিহত র‍্যাবের গোয়েন্দা প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজাদের কথা স্মরণ করে আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, আমরা র‍্যাবের সফলতার কথা বলি। লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজাদের কথা বলি, আমার স্মরণ আছে। তিনি যেদিন শাহাদাৎ বরণ করলেন তার আগের দিন কথা হয়। আমি বললাম- সাবধানে। সে বললো- স্যার আপনি চিন্তা কইরেন না। আমরা যাচ্ছি। সব কিছু আমরা কন্ট্রোল করতে পারবো। তার পরের দিন তিনি শাহাদাৎ বরণ করলেন। র‍্যাবের অনেকেই আহত হয়েছে, শাহাদাৎ বরণ করেছেন। তাদের তালিকা আপনারা দেখেছেন। আমরা তাদেরকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমরা স্মরণ করেছি র‍্যাব যাদের উদ্ধার করেছে, উপকৃত হয়েছেন। র‍্যাব আমাদের এলিট ফোর্স।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পথচলা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে। এই জায়গা যদি আমাদের র‍্যাব, আমাদের পুলিশসহ সব নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে কাজ না করতেন তাহলে আমরা অনেক বাঁধার সম্মুখীন হতাম। আমরা অত্যন্ত ধন্যবাদ জানাই যারা আহত হয়েছেন কিংবা শাহাদাৎ বরণ করেছেন। তাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আজকে ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত করেছেন, এই প্রচেষ্টা ধরে রাখার আহ্বান জানাই।

আমাদের বাণী/২৪/৫/২০২২/এসি

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.