যমুনায় বিলীন পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি

টাঙ্গাইলঃ জেলায় যমুনা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভাঙন। গত এক সপ্তাহে সদরের কাকুয়া ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ী নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডে আপাতত তেমন কোন টেকনোলেজি নেই বলে জানিয়েছে। তবে দরপত্র আহবানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী।

সরেজমিন গতকাল রোববার টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় কাকুয়া ইউনিয়নে দেখা যায়, চরপৌলী, রাঙ্গাচুড়া, আলীপুর, বেলটা, কালিকৈটিল,কাকুয়া ও ওমরপুর গ্রামের প্রায় পাঁচশতাধিক বাড়ী নদীতে চলে গেছে। প্রতি বছর যমুনার পানি বাড়ার সময় এবং পানি কমার সময় এ এলাকায় দেখা দেয় তীব্র ভাঙন। নদী তীরের মানুষ বসত-বাড়ী ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। গাছগুলোও কেটে নিয়ে যাচ্ছে। নদী তীরে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার কর্মযজ্ঞ।

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আবজাল হোসেন জানান, ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো যে যেভাবে পারছে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন। প্রতিবছর এই গ্রামে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এখানে বাঁধ নির্মান করা হচ্ছে না। তাই শতশত মানুষ গৃহহারা হচ্ছে।

শুধু বাড়িঘর নয়, চরপৌলীর মিন্টু মেমোরিয়াল হাইস্কুল, চরপৌলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরপৌলী দাখিল মাদ্রাসা, উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হুমকির মুখে রয়েছে। যে কোন সময় নদী গর্ভে এ প্রতিষ্ঠানগুলো বিলীন হতে পারে।

কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, ভাঙনের বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদে জানিয়েছেন। তিনি জানান, মাত্র কয়েকদিনেই পাঁচ শতাধিক বাড়ি বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে এখানে বাঁধ নির্মান করা জরুরি। তা না হলে আগামী দুই এক বছরের মধ্যেই চরপৌলী গ্রামটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলার চরপৌলি এলাকায় প্রায় চার কিলোমিটারের ভাঙন রয়েছে। এই ভাঙন রোধে আপাতত আমাদের হাতে তেমন কোন টেকনোলেজি নেই। তাই আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে আপদকালীন কাজ বাস্তবায়ন করছি।

তিনি আরও বলেন, যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে জরুরি কাজ করে এ ভাঙন ঠেকানো যাবে না। শুকনা মৌসুমে এখানে স্থায়ী বাঁধের কাজ শুরু হবে। সে কাজের দরপত্র আহ্বান খুব শিগগিরই করা হবে।

আমাদের বাণী/২৪/৫/২০২২/এসি

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.