
কুষ্টিয়াঃ কুষ্টিয়া পাসপোর্ট অফিসে শুধু দালাল নয়, অফিসের কর্মকর্তারাও টাকা ছাড়া কাজ করেন না। অনুসন্ধানে দেখা যায়, একজন পাসপোর্ট প্রত্যাশীর জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন করতে অনেক কিছু করতে হয়। এরপরেও তার পাসপোর্টের জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য কুষ্টিয়া অফিস ম্যানেজ করে আবেদন করে ঢাকায় গিয়ে পড়ে থাকতে হয়।
কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ‘টাকার বিনিময়ে কাজ করে দেওয়া’ কয়েকজন জানান, জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য বছরপ্রতি বারো হাজার টাকা করে দিতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, আপনি যদি ৩ বছরের জন্য পাসপোর্ট করেন, তাহলে আপনার লাগবে ৩৬ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে আরও চার হাজার টাকাসহ মোট ৪০ হাজার টাকা দিতে। এই টাকার নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত আপনার পাসপোর্ট ঢাকা অফিসে পড়ে থাকবে।
কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাসপোর্টের জন্মতারিখ সংশোধন আমরা তাহলে কীভাবে করব? সিন্ডিকেট ও অফিস কর্তৃপক্ষের কাছে জিম্মি আমরা সাধারণ জনগণ টাকা ছাড়া পাসপোর্ট পাব না?
কুষ্টিয়া পাসপোর্ট অফিসে গেলে দেখা যায়, ভুক্তভোগী মানুষের চড়া মেজাজ। কেউ কেউ রাগে-ক্ষোভে গালি দিচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানান, দালালদের টাকা না দিলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা তাদের হয়রানি করেন।
কুষ্টিয়া পাসপোর্ট অফিসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি আবেদনের উপরে কলমের কালির একটি করে চিহ্ন দেওয়া আছে। এই চিহ্ন সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসা করা হয়।
এ ছাড়া দালালদের মাধ্যমে কোনও পাসপোর্টের কাজ করা হয় কী না এবং জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য পাসপোর্টের আবেদনকারীর কাছ থেকে হেড অফিসের কথা বলে কোনও টাকা নেওয়া হয় কী না জানার জন্য কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ইনচার্জ জাহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আমাদের বাণী/২৩/৫/২০২২/এসি
Leave a Reply