
ঢাকাঃ স্ত্রীর সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারান ফুলতলার ব্যবসায়ী নেতা ও ‘দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী’ রকিবুল ইসলাম। এ সময় তার স্ত্রীও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। শুক্রবার বিকেলে ফুলতলা কলেজ মাঠে রকিবের জানাজা শেষে সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত এ নিয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ জানায়, মামলা প্রক্রিয়াধীন।
রকিবুল খুলনার ফুলতলা উপজেলার আলকা গ্রামের মাহাবুব জমাদ্দারের ছেলে। তিনি ফুলতলা বাজার বণিক কল্যাণ সোসাইটির ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার দত্তগাতী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশের ধারণা, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে রকিবুল ইসলাম খুন হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, রকিবুল ইসলাম ফুলতলা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। নওয়াপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতা মোল্যা ওলিয়ার রহমান হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন। এ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে অভয়নগর ও ফুলতলা থানায় তিনটি হত্যা ও একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রকিবুল ইসলাম তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে মনিরামপুরের কপালিয়া গ্রামে বেড়াতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে দত্তগাতী গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে ওতপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলি তার বুকের বাঁ পাশে ও মাথায় লাগে। তাকে ফুলতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
রকিবুলের স্ত্রী বর্ষা বেগম বলেন, আমি ও আমার স্বামী মোটরসাইকেল করে দত্তগাতি এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে কয়েকজন সন্ত্রাসী আমাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে স্বামীর মাথায় ও বুকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, দত্তগাতী দামুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রতি অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং আয়া পদে তিনজনকে নিয়োগ দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই নিয়োগে প্রায় ৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। এ লেনদেনে রকিবুল ইসলাম ৯ লাখ টাকা দাবি করেন।
অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন মণ্ডল বলেন, রকিবুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। তিনি দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ছিলেন। একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে তাকে হত্যা করা হতে পারে।
Leave a Reply