
চট্টগ্রামঃ ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদে কর্মরত দুই সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন এক গৃহকর্মী। উপজেলার আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম ও সদ্য রামগড় উপজেলায় বদলি হওয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ফটিকছড়ি থানায় করা এ মামলায় সুন্দরপুর ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার ইয়াকুব আলী ও আরেক গৃহকর্মী শিখা শীলকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ পাশের একটি ভবনে ব্যাচেলর হিসেবে বাস করতেন নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ও আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম। সেখানে গৃহকর্মীর কাজ করতেন জরিনা বেগম। দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরিনার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে তারা তাকে ধর্ষণ করেন। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন দুই কর্মকর্তা। বিষয়টি জানাজানি হলে জরিনা প্রথমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেন। পরে জরিনা ফটিকছড়ি থানায় গিয়ে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রাহমান সানি বলেন, আমার কাছে জরিনা অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে পরামর্শ দিয়েছি।
ফটিকছড়ি থানার ওসি মাসুদ ইবনে আনোয়ার বলেন, উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা ও সদ্য বদলি হওয়া নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেছেন এক গৃহকর্মী। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, আমাকে ষড়যন্ত্রমূলক একটি মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমি ডায়াবেটিসের রোগী, শারীরিকভাবেও অক্ষম। সত্যের জয় হবে।
ফটিকছড়ি থেকে সদ্য বদলি হওয়া নির্বাচন কর্মকর্তা ও বর্তমানে রামগড়ে কর্মরত হুমায়ুন কবির বলেন, ওই নারীর ‘সমস্যা’ আছে। তাকে দিয়ে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
Leave a Reply